তথ্য ভান্ডার

আত্মকর্মসংস্থান – ব্যক্তিগত ও জাতীয় উন্নয়নে ভূমিকা

আত্মকর্মসংস্থান – ব্যক্তিগত ও জাতীয় উন্নয়নে ভূমিকা: লেখাপড়া শেষ করার পর আমরা অনেকেই বিভিন্ন চাকরি-বাকরির চেষ্টা করে থাকি। নিজের পছন্দমত চাকরি না পেলে আমরা হতাশ হয়ে পড়ি। কিন্তু দেশের সে পরিমাণ কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা না থাকায় দেশের বিপুল পরিমাণ শিক্ষিত মানুষ বেকার হয়ে পড়ে আছে। আজ আমরা আত্মকর্মসংস্থান – ব্যক্তিগত ও জাতীয় উন্নয়নে ভূমিকা নিয়ে আলোচনা করবো;

দিনে দিনে মানুষেরমাঝে চাকুরির প্রতি নির্ভর না থাকার বিষয়টি উন্নতি ঘটছে। আমাদের দেশে শিক্ষিত তরুণরা এখন আর চাকরি বাকরির দিকে না তাকিয়ে নিজেরাই কোন কিছু করার চেষ্টা করছে।

উচ্চশিক্ষা শেষ করার পর অনেক তরুণ নিজের গ্রামের বাড়িতে গিয়ে বা নিজের আশেপাশে নিজের বিবেক বিবেচনা ও বুদ্ধিকে কাজে লাগিয়ে পর্যাপ্ত পরিমাণ আয় করে পরিবার ও নিজের ভরণপোষণ করছে।

এর মাধ্যমে অনেকেই উন্নতির উচ্চশিখরে আহরণ করেছে।

আত্মকর্মসংস্থান:

নিজের বিবেক বুদ্ধি বিচার-বিশ্লেষণ ও দক্ষতাকে কাজে লাগিয়ে আশপাশের বিভিন্ন উৎস ব্যবহার করে নিজের প্রচেষ্টায় জীবিকা অর্জনের ব্যবস্থাকে আত্মকর্মসংস্থান বলে।

পৃথিবীতে যতগুলো দেশ আছে তার মধ্যে আত্মকর্মসংস্থান একটি অত্যন্ত জনপ্রিয় পেশা।

দেশ বিদেশের অনেক শিক্ষিত বেকার এখন আর সরকারি বা বেসরকারি চাকরির দিকে না তাকিয়ে নিজেরাই নিজেদের দক্ষতা কাজে লাগিয়ে উপার্জনের চেষ্টা করে থাকে।

আত্মকর্মসংস্থান এর মাধ্যমে অনেক বেশি উপার্জন করা সম্ভব এবং অন্যের দাসত্ব মেনে না নিয়ে নিজের মতো করে বাঁচা সম্ভব। ‌

একটি রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য আত্মকর্মসংস্থানের অনেক বেশি প্রয়োজনীয়তা রয়েছে:

  • কর্মসংস্থান কে প্রধানত তিন ভাগে ভাগ করা যায় –
    • ১. মজুরি বাবদ ভিত্তিক চাকরি,
    • ২. আত্মকর্মসংস্থান ও
    • ৩, ব্যবসায়
  • কর্মসংস্থানের প্রধান উৎস সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠান। জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে শ্রমজীবী ও চাকরিজীবী লোকের সংখ্যা বৃদ্ধি পায়। কর্মসংস্থানের চাহিদা যে হারে বৃদ্ধি পায় সে কর্মসংস্থানের সংখ্যা বৃদ্ধি পায় না।
  • অন্য পেশায় এর সম্ভাবনার সীমিত। কিন্তু আত্মকর্মসংস্থান থেকে প্রাপ্ত আয় প্রথমদিকে সীমিত ও অনিশ্চিত হলেও পরবর্তীতে এই পেশা থেকে আয় বৃদ্ধির সম্ভাবনা অসীম।
  • বর্তমানে আত্মকর্মসংস্থান এর আওতা অনেক বৃদ্ধি পেয়েছে। আগের তুলনায় বর্তমান আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত ব্যক্তিদের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পেয়েছে।
  • আত্মকর্মসংস্থানের সবচেয়ে বড় মূলধন হলো নিজের দক্ষতা। কর্ম সম্পাদনের জন্য যে যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল প্রয়োজন তার অর্থ সংস্থান করা ও অনেকটা সহজ।
  • আত্মকর্মসংস্থান একটি স্বাধীন পেশা। আর এ ব্যবসায় যেহেতু অনেক সময় নিজের বাড়িতে বা জমিতে করা যায় সে তো আলাদা খরচ হয় না।
  • আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত থাকলে তরুণসমাজ নানা সমাজ বিরোধী কাজে লিপ্ত না থেকে সমাজ ও দেশের উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে।
  • বাংলাদেশের জনসংখ্যা বেশি হওয়ায় এখানে মজুরির পরিমাণ অনেক কম। আবার আমাদের দেশে মৌসুমী বেকারত্ব সমস্যা প্রকট: এসকল সমস্যার সমাধানে আত্ম-কর্মসংস্থানের গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে।
  • আত্মকর্মসংস্থানের মাধ্যমে শহর মুখে জলস্রোত নিয়ন্ত্রণের গ্রামীণ সমাজ এবং অর্থনীতির উন্নয়ন নিশ্চিত করা সম্ভব।
  • আত্ম-কর্মসংস্থানের মানসিকতা যুব সমাজকে দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ করে এবং স্বেচ্ছাসেবক মূলক কাজে উৎসাহিত করে।
  • আত্মকর্মসংস্থানের জন্য বয়স কোনো সমস্যা নয় এর মাধ্যমে যে কোনো বয়সের মানুষের দক্ষতা অনুযায়ী অর্থ উপার্জন করতে পারে।

ব্যক্তিগত সমৃদ্ধি অর্জন এবং দেশের মানুষের আর্থসামাজিক অবস্থা বিবেচনায় একজন ব্যক্তির চাকুরীর আশায় না থেকে আত্মকর্মসংস্থানে নিয়োজিত হওয়া উচিত বলে আমি মনে করছি।

এই ছিল তোমাদের জন্য আজকের আয়োজন। আশা করছি তোমরা আত্মকর্মসংস্থান বিষয়ের নবম শ্রেণির ব্যবসায় উদ্যেগ বিষয়ের ৩য় এস্যাইনমেন্ট এর উত্তর করতে পারবে।

তোমাদের জন্য এই টিউনটি প্রদান করেছেন, রহিমা আক্তার পিংকি, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়

প্রতি সপ্তাহের অ্যাসাইনমেন্ট সবার আগে পেতে বাংলা নোটিশ ডট কম এর ফেসবুক পেইজ লাইক ও ফলো করে রাখুন এবং ফেসবুক পেইজ Like ও Follow করে রাখুন;

ইউটিউবে শিক্ষা সংক্রান্ত তথ্য পেতে Bangla Notice ইউটিউব চ্যানেল Subscribe করে রাখুন।

দেশের নামকরা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষকরা এবং মেধাবী শিক্ষার্থীরা তাদের অ্যাসাইনমেন্ট সংক্রান্ত বিভিন্ন আলোচনার মাধ্যমে সমস্যার সমাধান করে নিচ্ছে বাংলা নোটিশ এর ফেসবুক গ্রুপে; তুমিও যোগ দাও > গ্রুপ লিংক

তোমার জন্য আরও কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য:

 

আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া

বাংলাদেশের জনপ্রিয় অনলাইন নিউজ পোর্টাল বাংলা নোটিশ ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক জনাব আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া। জন্ম ১৯৯৩ সালের ২০ নভেম্বর, কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলায়। বাবা আবদুল গফুর ভূঁইয়া এবং মা রহিমা বেগম। এক ছেলে এক মেয়ে। ছেলে আবদুল্লাহ আল আরিয়ান বয়স ৫ বছর। মেয়ে ফাবিহা জান্নাত বয়স ১ বছর। আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া এর শিক্ষাজীবন আনসার আহাম্মদ ভূঁইয়া কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজ থেকে ২০১৮ সালে ম্যানেজমেন্ট এ স্নাতকোত্তর সম্পন্ন করেন। এরপর তিনি উত্তরা ইউনিভার্সিটি ঢাকা থেকে বিপিএড সম্পন্ন করেন। আজিয়ারা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে শিক্ষা জীবন শুরু। এরপর আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং নবাব ফয়জুন্নেসা সরকারি কলেজ লাকসাম উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে কিছুদিন ক্লাস করার পর। পারিবারিক কারণে নাঙ্গলকোট হাসান মেমোরিয়াল সরকারি কলেজ থেকে উচ্চমাধ্যমিক সম্পন্ন করেন। শিক্ষা জীবনে তিনি কুমিল্লা সরকারি কলেজ এ কিছুদিন রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করার পর ভালো না লাগায় পুনরায় ব্যবসায় শিক্ষা বিষয়ে অধ্যয়ন করেন। ছাত্র জীবনে তিনি নানা রকম সামাজিক সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন। কর্মজীবন কর্মজীবনের শুরুতে তিনি আজিয়ারা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকতা পেশায় যোগদেন। বেশ কিছুদিন পর তিনি ২০১৯ সালে উন্নত ভবিষ্যতের আশায় কুয়েত পারি জমান। কিন্তু সেখানকার কাজের পরিস্থিতি অনুকুলে না থাকায় পুনরায় আবার বাংলাদেশে ফিরে এসে পূর্বের পদে কাজে যোগদান করে অদ্যাবধি কর্মরত আছেন। এছাড়াও তিনি স্বপ্ন গ্রাফিক্স এন্ড নেটওয়ার্ক নামে একটি মাল্টিমিডিয়া এবং প্রিন্টিং প্রেস প্রতিষ্ঠানের স্বত্তাধীকারী সেই সাথে স্বপ্ন ইশকুল নামক একটি কম্পিউটার ট্রেণিং ইনস্টিটিউট এর মালিকানায় আছেন যেখানে তিনি নিজেই ক্লাস পরিচালনা করেন। লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্ম ছাত্র অবস্থায় তিনি লেখা-লেখি ও সাহিত্য কর্মের সাথে জড়িত আছেন। ২০১১ সালে রাইটার্স এসোসিয়েশন এর ম্যাগাজিনে তার প্রথম লেখা বন্ধু চিরন্তন প্রকাশিত হয়। এর পর তিনি বিভিন্ন পত্র পত্রিকায় গল্প, কবিতা ও প্রবন্ধ রচনা করেছেন।

Related Articles

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Back to top button
Close

অ্যাডস্ ব্লকার পাওয়া গেছে!

দয়া করে আমাদের সাপোর্ট করার জন্য আপনার এডস্ ব্লকার ডিজেবল করে পেইজটি রিলোড করুন! ধন্যবাদ